সিলেট জেলা প্রশাসক মো. মজিবুর রহমান জানিয়েছেন, রোববারও (১৯ জুন) ৫০ হাজার মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও প্রায় ৫০ হাজার গবাদি পশু উদ্ধার করা হয়েছে। জেলার ১৩টি উপজেলা, ৫টি পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের ৮০ ভাগ এলাকা বন্যাকবলিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ। এছাড়াও সুনামগঞ্জে ২০ লাখ মানুষ পানিবন্দি রয়েছে।
বন্যাকবলিত এলাকায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও অন্যান্য ইউনিটের সহায়তায় ২ লাখ ৩০ হাজার ৬৩২ জন আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছেছেন। বন্যা উপদ্রুত এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা দিতে ১৪০টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। চারটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ওয়াটার প্ল্যান্টের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত আড়াই লাখ পিস পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট সরবরাহ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বন্যার্তদের মাঝে ৬১২ মেট্রিক টন চাল, ৭ হাজার ৯০০ প্যাকেট শুকনো খাবার, ৩৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আরও ৮ হাজার ১১৮ প্যাকেট শুকনো খাবার এবং নগদ ১ কোটি টাকা মজুত রয়েছে।
এদিকে, সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের গণমাধ্যম শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেজর হাসিব জানান, সিলেটের বন্যাদুর্গতদের উদ্ধারে সেনাবাহিনীর প্যারাকমান্ড ইউনিটসহ ১৩টি ব্যাটালিয়নের ২৩ প্ল্যাটুন সদস্য সিলেট ও সুনামগঞ্জে উদ্ধারকাজে নিয়োজিত রয়েছেন। ৬০টি নৌকার সাহায্যে উদ্ধার অভিযান চলানো হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক জানান, নৌবাহিনীর ১০০ সদস্য ১২টি নৌকা নিয়ে সুনামগঞ্জে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন।