ঢাকাবৃহস্পতিবার, ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কঠোর হচ্ছে প্রশাসন, শিক্ষক হেনস্তায় বহিষ্কার রাবি শিক্ষার্থী

ইমরান রহমান অনিম
জুন ২৯, ২০২২ ৪:৫৪ অপরাহ্ণ / ই-প্রিন্ট ই-প্রিন্ট
                                                       
                           
Link Copied!
ই-প্রিন্ট ই-প্রিন্ট                            

শিক্ষকদের হেনস্তা, শিক্ষার্থীদের হত্যার হুমকি ও ক্যাম্পাসের শৃঙ্খলা বিনষ্টের অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বহিষ্কার শিক্ষার্থীর নাম আশিক উল্লাহ। তিনি আইন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী।

বুধবার (২৯ জুন) দুপুরে প্রক্টর দপ্তরের ড. আসাবুল হক স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার দপ্তর, আইন বিভাগসহ গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরগুলোতে।

প্রক্টর আসাবুল হক তার পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ‘আদিষ্ট হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মো . আশিক উল্লাহ, এলএলএম শেষ বর্ষ, শহীদ জিয়াউর রহমান হল। তিনি দীর্ঘদিন ধরে একাধিকবার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশের বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে তিনি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের হত্যার হুমকি দিয়েছেন।
বুধবার (২৯ জুন) আইন বিভাগের ক্লাসরুমে শ্রদ্ধেয় একজন শিক্ষিকা ড. বেগম আসমা সিদ্দীকাকে হেনস্তা করার প্রেক্ষিতে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলন ও দাবির মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে তাকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শৃঙ্খলা কমিটি ও সিন্ডিকেটে রিপোর্ট সাপেক্ষে সাময়িক বহিষ্কার করার নির্দেশ প্রদান করা হল।
এর আগেও গত এপ্রিল মাসে তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশের বিঘ্ন ঘটানো ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনেন শিক্ষার্থীরা। সেই সময় ছাত্র উপদেষ্টা ড. তারেক নূর তাকে ডেকে কথা বলতে চাইলে তাকেরও নানাভাবে হেনস্তা করেন আশিক। এমনকি ছাত্র উপদেষ্টার আবাসিক ভবনে জোর পূর্বক প্রবেশের পর উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে নানা অভিযোগ এনে ভিডিও করে ফেসবুকে পোস্ট করেন তিনি। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে ঢাকায় বসবাসকারী তার পুলিশ কর্মকর্তা বাবার জিম্মায় দেয়। মাস দুয়েক পর আবারও একই আচরণে ফেরেন তিনি।
ছাত্র উপদেষ্টা ড. তারেক নূর বলেন, আমারা শিক্ষক হয়ে কোনো শিক্ষার্থীর অনিষ্ট হোক তা চাই না। কিন্তু আশিকের বিষয়টি চেষ্টা করেও প্রশাসন আর সমাধানে আসতে পারেনি। এমন বিশৃঙ্খলাকারী শিক্ষার্থীকে আর ক্যাম্পাসে রাখা নিরাপদ হবে না। তার বিরুদ্ধে তারই সহপাঠী, বিভাগের শিক্ষকরা হত্যার হুমকি, অশোভন আচরণ ও মারধরের অভিযোগ আনছেন বহুদিন থেকে। অবশেষে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও দাবির মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে তাকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শৃঙ্খলা কমিটি ও সিন্ডিকেটের তদন্ত প্রতিবেদন সাপেক্ষে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।