ঢাকারবিবার, ১৯শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা করল টুইটার

ইমরান রহমান অনিম
জুলাই ১৩, ২০২২ ১২:৪৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সব জল্পনা-কল্পনা ছাপিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেলওয়ার আদালতে ধনকুবের ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা করেছে টুইটার। টুইটারের সঙ্গে মাস্ক ৪৪ বিলিয়নের চুক্তি বাতিল করায় এ মামলা করা হলো।

মঙ্গলবার (১২ জুলাই) টুইটার মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, মাস্ক টুইটারের সঙ্গে যাচ্ছেতাই আচরণ করেছে। সে ভাবছে চাইলেই যখন-তখন কোনো চুক্তি বাতিল করা যায়, শেয়ারহোল্ডারদের নিয়ে ছিনিমিনি খেলা যায়, কোম্পানির স্বাভাবিক কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটানো যায় ও রাতারাতি কথা বদলে চুক্তি বাতিল করা যায়। মাস্কের এ ধরনের আচরণ ন্যায়সংগত না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার। খবর রয়টার্স।

ধারণা করা হচ্ছে ওয়াল স্ট্রিটের ইতিহাসে এই মামলা একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। একদিকে জনপ্রিয় যোগাযোগমাধ্যম টুইটার, অন্যদিকে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। এখন দেখার পালা আইনি লড়াইয়ে কে এগিয়ে যায়।

এর আগে শুক্রবার (৮ জুলাই) মাস্ক জানান, তিনি আর টুইটার কিনছেন না। টুইটারের সঙ্গে ৪৪ বিলিয়নের চুক্তিটি বাতিল করছেন তিনি। মাস্কের অভিযোগ ছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কোম্পানিটি ভুয়া অ্যাকাউন্টের ব্যাপারে তথ্য জানাতে ব্যর্থ হয়েছে।
 

এ ছাড়া এক চিঠিতে ইলন মাস্কের আইনজীবী বলেন, ভুয়া অ্যাকাউন্টের তথ্য জানাতে অসম্মতি জানানোর পাশাপাশি টুইটার তার স্প্যাম বট মোট ব্যবহারকারীর ৫ শতাংশের কম থাকার বিষয়টির প্রমাণ দিতে পারেনি।
এর আগে গত মে মাসে টুইটার কেনার চুক্তি সাময়িকভাবে স্থগিত করেন ইলন মাস্ক। তখন তিনি ঘোষণা দেন, টুইটারে স্প্যাম ফেইক অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ‘পাঁচ শতাংশের নিচে’ কিনা এটা জানার অপেক্ষায় আছেন।
আইনজীবীদের মাধ্যমে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়, টুইটার কর্তৃপক্ষ তাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি (তথ্য সরবরাহের) রাখেনি, যা নিয়মভঙ্গের শামিল। তাই যে কোনো মুহূর্তে এ চুক্তি থেকে সরে আসার অধিকার রাখেন ইলন মাস্ক।
এর আগে টুইটারের মামলা করার বিষয়ে মজা করে একটি মিম টুইট করেন ইলন মাস্ক। মিমটিতে টেসলার প্রতিষ্ঠাতা চারটি ছবি একত্র করে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। চারটি ছবির প্রতিটিতে তাকে হাসতে দেখা যায়। প্রতিটি ছবিতে তাকে আগের ছবিটির চেয়ে বেশি হাসতে দেখা যাচ্ছে। আর চারটি ছবির একেকটির সঙ্গে একেককটি ক্যাপশন লেখা।
 
প্রথম ক্যাপশনে লেখা: ‘ওরা বলেছিল, আমি টুইটার কিনতে পারব না।’ দ্বিতীয় ক্যাপশনে লেখা: ‘তারপর তারা আমাকে বটের (ফেক অ্যাকাউন্ট) তথ্য দেবে না।’ তৃতীয় ক্যাপশনে লেখা: ‘এখন তারা আদালতের মাধ্যমে জোর করে আমাকে টুইটার কিনতে বাধ্য করতে চায়।’ চতুর্থ ক্যাপশনে লেখা: ‘এখন কোর্টে তাদের বটের তথ্য দিতে হবে।’
তবে মাস্কের এই টুইটের বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি টুইটার কর্তৃপক্ষ।