ঢাকামঙ্গলবার, ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

টুইটারের সিইও পদ ছাড়ার ঘোষণা এলন মাস্কের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ডিসেম্বর ২২, ২০২২ ১২:৪৬ পূর্বাহ্ণ / ই-প্রিন্ট ই-প্রিন্ট
                                                       
                           
Link Copied!
ই-প্রিন্ট ই-প্রিন্ট                            

টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাতা ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী এলন মাস্ক। টুইটারের প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে তার সরে দাঁড়ানো উচিৎ কিনা- এমন প্রশ্নে এলন মাস্কের জরিপে অংশ নেওয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষই তাকে চলে যাওয়ার পক্ষে মত দেওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত জানালেন এই ধনকুবের।

বুধবার (২১ ডিসেম্বর) টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন মাস্ক। অবশ্য পদত্যাগের আগে এই পদের জন্য নতুন একজনকে খুঁজে বের করবেন তিনি এবং এরপরই সংস্থাটি থেকে সরে দাঁড়াবেন।

এর আগে টুইটারের প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে তার সরে দাঁড়ানো উচিৎ কিনা- এমন প্রশ্ন রেখে একটি জরিপ শুরু করেন মাস্ক। ওই জরিপে অংশ নেওয়া ৫৭ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষই তাকে চলে যাওয়ার পক্ষে মত দেন। গত রবিবার রাতে এই জরিপ শুরু করেন মাস্ক এবং পরে তিনি জরিপের ফল মেনে নেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন। প্রায় এক কোটি ৮০ লাখ মানুষ জরিপে অংশ নেন।

বুধবার টুইটারে দেওয়া ওই পদত্যাগ বার্তায় মাস্ক বলেছেন, টুইটারে তার জায়গায় নতুন লোক খুঁজে পাওয়ার পরে তিনি কেবল সফ্টওয়্যার এবং সার্ভার টিম পরিচালনা করবেন। টুইটারের পাশাপাশি ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাতা ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান টেসলা এবং স্পেস এক্সও পরিচালনা করে থাকেন মাস্ক।

গত অক্টোবরের শেষ দিকে ৪৪ বিলিয়ন ডলারে টুইটার কিনে নেন এলন মাস্ক। এরপর তিনি সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব নেন এবং এরপর থেকে প্ল্যাটফর্মটিতে তার আনা নানা পরিবর্তন ও কর্মী ছাঁটাই ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে।

এছাড়া কয়েকজন সাংবাদিকের টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ায় গত শুক্রবার জাতিসংঘ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন মাস্কের সমালোচনা করে। এদের মধ্যে নিউ ইয়র্ক টাইমস, সিএনএন এবং ওয়াশিংটন পোস্টের মতো প্রতিষ্ঠানের সাংবাদিকরাও ছিলেন।

ওই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিলো, তারা এলন মাস্ক কখন কোথায় যাচ্ছেন সেসবের তথ্য টুইটারের শেয়ার করছিলেন। তবে সমালোচনার মুখে এই সাংবাদিকদের অ্যাকাউন্ট আবার সচল করা হয়। জাতিসংঘ এক টুইটে বলে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ‘কারও হাতের খেলনা নয়’। এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নও টুইটারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। সূত্র: বিবিসি