গ্রীষ্মের শুরু থেকে পাওয়া যাচ্ছে পাকা আম । প্রাকৃতিকভাবে তো শুরুতে আম পাকার কথা নয় । বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজারে যে আম পাওয়া যাচ্ছে তার বেশিরভাগই কৃত্রিমভাবে পাকানো । কার্বাইড দিয়ে পাকানো হচ্ছে কাঁচা আম ।বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আম পাকাতে ব্যবহার করা হয় ক্যালসিয়াম কার্বাইড নামের একটি রাসায়নিক। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরণের রাসায়নিক শরীরে প্রবেশ করলে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এছাড়াও তাৎক্ষণিক ফল মাথা ব্যথা ,বমি ,ক্লান্তি , স্মৃতি শক্তি হ্রাসের মত সমস্যা।
কিভাবে বুঝবেন কোন আম রাসায়নিক কার্বাইড দিয়ে পাকানো?
১. আমের রং
কৃত্রিমভাবে পাকানো আমের গায়ে হলুদ ও সবুজ আভা থাকে । আমের খোসা হলুদ হলে সবুজ ছোপ স্পষ্ট ভাবে দেখা যায়। প্রাকৃতিক আমে এমন ছোপ থাকে না। হলুদ ও সবুজ পরস্পরের সঙ্গে মিশে যায়। কৃত্রিম ভাবে পাকানো আম প্রাকৃতিক পাকা আমের চেয়ে বেশি উজ্জ্বল ও হলুদ রং এর হয়।
২.রসালো আম
রাসায়নিক না থাকলে আম রসালো হয় । কিন্তু কার্বাইড দিয়ে পাকানো আম রসালো হয় না ।প্রাকৃতিক পাকা আমের শাঁস উজ্জ্বল লালচে হলুদ রঙের হয় । কৃত্রিম পাকা আম বাইরে থেকে শাঁসালো মনে হলে ও আদতে হয় না । তাই হলুদ রং উজ্জ্বল ও হয় না ।
৩.আমের স্বাদ
কৃত্রিমভাবে পাকানো আম খেলে বেশি শক্ত মনে হয়। জ্বালাও অনুভূত হয়। মিষ্টিও তেমন হয় না। কৃত্রিম পাকা আম খেলে ডায়েরিয়া, হজমের সমস্যা হয়।