ঢাকারবিবার, ২৮শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ইরানের বিরুদ্ধে পরমাণু কেন্দ্রে লাগানো নজরদারি ক্যামেরা খুলে নেয়ার অভিযোগ তুলেছে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা আইএইএ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
জুন ১১, ২০২২ ১:২২ অপরাহ্ণ / ই-প্রিন্ট ই-প্রিন্ট
                                                       
                           
Link Copied!
ই-প্রিন্ট ই-প্রিন্ট                            

ইরানের এমন আচরণের তীব্র সমালোচনা করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পরমাণু চুক্তির স্বার্থে আইএইএকে ইরানের সহযোগিতা করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। খবর বিবিসির।

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা আইএইএ জানায়, ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে নজরদারির জন্য যে ২৭টি ক্যামেরা লাগানো ছিল, সম্প্রতি সেগুলো সরিয়ে ফেলার কাজ শুরু করেছে তেহরান। ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির শর্ত অনুযায়ী বিশেষ ওই নজরদারি ক্যামেরাগুলো লাগানো হয়েছিল। ক্যামেরা খুলে ফেলায় চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করেছে ইরান। এতে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির বিষয়ে সঠিক তথ্য জানা অনিশ্চিত হয়ে পড়ার পাশাপাশি ২০১৫ সালের চুক্তিতে ফেরাও বড় ধরনের হুমকির মুখে পড়ল বলে মন্তব্য করেছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রসি।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ক্যামেরা সরিয়ে নেয়ায় আগের চেয়ে আরও বেশি মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের দিকে ঝুঁকেত পারে ইরান। এতে তারা পরমাণু অস্ত্র তৈরির কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা গ্রসির।

তিনি বলেন, আমরা খুবই উদ্বেগের মধ্যে আছি। যদি ইরান ওই ক্যামেরা আর না লাগায়, তবে তা পরমাণু চুক্তির জন্য বিশাল ধাক্কা বলেই মনে করছি আমরা। এতে করে স্বচ্ছতা কমবে, বাড়বে সন্দেহ ও অনিশ্চয়তা।

ক্যামেরা খুলে নেয়ায় আইএইএর কাছে বৃহস্পতিবার থেকে আর কোনো তথ্য পৌঁছাচ্ছে না।

এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, পরমাণু চুক্তির স্বার্থে ইরানের উচিত আইএইএ কে সহযোগিতা করা। ইরানের এমন আচরণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় উল্লেখ করে তা চুক্তিতে ফেরাকে বাধাগ্রস্ত করবে বলেও জানান তিনি।

২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তি অনুযায়ী ইরান তাদের পরমাণু কর্মসূচি সীমিত রাখবে। যাতে কোনোভাবেই তারা পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা চালাতে না পারে। ২০১৮ সালে ইরানের পরমাণু চুক্তি থেকে সরে আসার ঘোষণা দেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরবর্তীতে ২০২১ সালে জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আবারও চুক্তিতে ফেরার ঘোষণা দিলে সমঝোতার লক্ষ্যে বিবদমান পক্ষগুলোর মধ্যে শুরু হয় আলোচনা।