পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকোশলী সৈয়দ রজব আলী সময় সংবাদকে জানান, সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৮ ঘণ্টায় দুই পাড়ে ১৫ হাজার ২০০টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে ৮২ লাখ ১৯ হাজার ৫০ টাকা টোল আদায় হয়। এরমধ্যে জাজিরা প্রান্তে ৩৫ লাখ ২৯ হাজার ৫০০ টাকা এবং মাওয়া প্রান্তে ৪৬ লাখ ৮৯ হাজার ৫৫০ টাকা টোল আদায় হয়। সকাল ৬টা থেকে মাওয়া থেকে ৮ হাজার ৪৩৮টি গাড়ি পার হয়েছে এবং জাজিরা প্রান্তে পার হয় ৬ হাজার ৭৬২টি গাড়ি।
তিনি আরও জানান, এরপর দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পরবর্তী ৭ ঘণ্টায় মাওয়া থেকে ১৩ হাজার ২০৬টি গাড়ি পার হয়েছে। এতে আয় হয়েছে ৪১ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। এ সময়ের মধ্যে জাজিরা প্রান্ত থেকে পার হয়েছে ১০ হাজার ৩৭৯টি গাড়ি। এতে আয় হয়েছে ২৪ লাখ ৬৯ হাজার ৩৫০ টাকা।
এর আগে শনিবার (২৫ জুন) দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন। রোববার ভোর ৬টা থেকে যানবাহনের জন্য পদ্মা সেতু খুলে দেয়া হয়।
এদিকে স্বপ্নের সেতু খুলে দেয়ার পর এক নজর দেখার জন্য রোববার সকাল থেকেই ভিড় শুরু হয়। দুপুরে কিছুটা কম থাকলেও বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা থেকে রাতেও হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে পদ্মার দুইপাড়ে। টোল প্লাজার কাউন্টারগুলোকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। গাড়ির যানজট এড়িয়ে অনেকে আবার অতি আবেগে হয়ে হেঁটেও পার হওয়ার চেষ্টা করেন পদ্মা সেতু।