বিটিআরসির নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে দেদার বিক্রি হচ্ছে গ্রামীণফোনের সিম। বিক্রেতাদের দাবি, এখনো সিম বিক্রি বন্ধ করতে বলেনি গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ। উল্টো নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই সরবরাহ করা হয়েছে নতুন সিম।
মানসম্মত গ্রাহকসেবা দিতে না পারায় দেশের শীর্ষ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের সিম বিক্রিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে অপারেটরকে ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি চিঠিও পাঠিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
অথচ বিটিআরসির এ নির্দেশনা পাত্তাই দেয়নি গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) সরেজমিন দেখা যায়, রাজধানীর ফুটপাত থেকে শুরু করে দোকানে সবখানেই দেদার জিপি সিম বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। নিষেধাজ্ঞার পরও কেন সিম বিক্রি হচ্ছে এমন প্রশ্নে বিক্রেতাদের দাবি, এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ কোনো যোগাযোগ করেনি।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে গ্রামীণফোন বলছে, রিটেইলারদের কাছে থাকা সিম বিক্রি বন্ধ করা তাদের দায়িত্ব না। এমনকি এসব সিম ফেরতও নেবেন না তারা।
এদিকে বিটিআরসি বলছে, দায় এড়িয়ে পার পাবে না জিপি।
এর আগে বুধবার (২৯ জুন) মানসম্মত সেবা দিতে না পারায় দেশের শীর্ষ অপারেটরটির সিম বিক্রিতে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা দেয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র বলেন, তাদের সেবা উন্নত করার জন্য এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
তবে বিটিআরসির অভিযোগকে অস্বীকার করেছে গ্রামীণফোন। তাদের দাবি নিয়ন্ত্রক সংস্থার জরিপে বেঁধে মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হয়েছে তারা। তারপরও গ্রাহক সেবার মান বাড়াতে সবশেষ নিলাম থেকে ৬০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ কেনা হয়েছে। এ অবস্থায় নিয়ন্ত্রক সংস্থার সিদ্ধান্তে হতাশ তারা।
এদিকে বিটিআরসি বলছে, দায় এড়িয়ে পার পাবে না জিপি।
গ্রামীণফোনের হেড অব কমিউনিকেশনসের খায়রুল বাশার বলেন, বিটিআরসি এবং ইন্টান্যাশালন টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের বেঞ্চমার্কে আমাদের অবস্থা ভালো রয়েছে। আমরা ধারাবাহিকভাবে আমাদের নেটওয়ার্ক আধুনিকায়ন করছি। সুতরাং, এমন একটি বিষয়ে যখন কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়া একটি চিঠি আসে, এটি আসলে আমাদের কাছে অপ্রত্যাশিত।