বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) মশার লার্ভা শনাক্তকরণ কার্যক্রমে অংশ নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, শনিবার থেকে আগামী ১০ দিন চলবে এই অভিযান।
পাখির চোখে অনেক কিছু দেখলেও এবার উদ্দেশ্য ভিন্ন কিছুর। এই অত্যাধুনিক ড্রোনের মাধ্যমে চলছে এডিস মশার লার্ভা শনাক্তের কাজ।
ডেঙ্গু ভাইরাসের বাহক এডিস মশা জন্মাতে পারে এমন অসংখ্য স্থান, পাত্র ও বস্তু ঢাকা শহরজুড়েই আছে। তবে এমন স্থানও আছে, যেখানে সহজে এডিস মশার বাসস্থান শনাক্ত করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশনে এডিস মশার প্রজননস্থল খুঁজতে চলবে ১০ দিন চিরুনি অভিযান।
মেয়র নগরবাসীকে সতর্ক করে বলেন, গত ১০ দিন ধরে ড্রোনের মাধ্যমে প্রত্যেকটি ছাদ-বাগান পর্যবেক্ষণ শুরু করেছেন। এর ফলে কাজ খুব ইজি হয়ে গেছে। যেখানে লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে, ওই বাড়িতে গিয়ে জরিমানা করা হচ্ছে।
এসময় তিনি সবাইকে এলাকাভিত্তিক দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। শুধু সিটি করপোরেশনের উপর নির্ভর না করে নিজ উদ্যোগে এগিয়ে আসলে সমস্যা দ্রুত সমাধান হবে বলে মনে করেন তিনি।
ডেঙ্গু প্রসঙ্গে হাসপাতালগুলোকে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের প্রকৃত তথ্য সিটি করপোরেশনকে দেয়ার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, সেই তথ্য নিয়ে মশা নিধনে কাজ করতে সুবিধা হবে, তাহলে এলাকাভিত্তিক অভিযান পরিচালনা করা যাবে। এছাড়া বাসা বাড়িতে মশক নিধন ট্যাবলেট প্রয়োগ করা হবে। নতুনভাবে আবিষ্কৃত এই এক ট্যাবলেটে তিন মাস কোনো লার্ভা জন্ম নেবে না।
এদিকে, উত্তরা কল্যাণ সমিতি মাঠসহ ৬টি ভিন্ন জায়গায় মশা ধরতে বসানো হয়েছে ফ্রান্স থেকে আমদানি করা আধুনিক যন্ত্র। যা দিয়ে ১৬০ মিটার দূরত্বের মধ্যে থাকা মশাকে ধরতে পারবে। এটি ২৪ ঘণ্টায় আড়াই হাজার মশা ধরতে সক্ষম।