নরওয়ের ইসলামবিদ্বেষী একটি গোষ্ঠীর নেতার গাড়ি ধাওয়া করে উল্টে দেয়া হয়েছে। শনিবার (২ জুলাই) দেশটির রাজধানী অসলোর উপকণ্ঠে এমন ঘটনা ঘটেছে। এর কয়েক মিনিট আগে অসলোর উপকণ্ঠে ওই লোক কোরআন পুড়িয়েছে।
ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর দিয়েছে। নরওয়ের পুলিশ বলছে, উগ্রপন্থী গোষ্ঠী ‘স্টপ দ্য ইসলামাইজেশন অব নরওয়ের’ নেতা লারস থোরসেনের এসইউভির গাড়ি ইচ্ছাকৃতভাবে ধাক্কা দেয়ায় একটি গাড়ির চালকসহ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এসইউভির পাঁচ যাত্রী হালকা আহত হয়েছে। একজনকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।
সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, লারস থোরসেন ও অন্যরা অসলোর উপকণ্ঠ মোর্টেনস্রাডে যায়। তারপর তারা একটি সড়ক মোড়ে গিয়ে কোরআনের একটি দগ্ধ কপি রাখে। প্রথমে স্থানীয়রা দগ্ধ কোরআন থেকে আগুন নেভাতে চেষ্টা করলে লারস থোরসেনের লোকজন তাদের বাধা দেয়।
মোর্টেনস্রাডে বিপুলসংখ্যক মুসলমান বাস করেন। ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ পোড়ানোয় ক্ষুব্ধ লোকজন ঘটনাস্থলে জড়ো হন। তাদের মধ্যে একজন নারীকেও দেখা গেছে, যিনি দগ্ধ কোরআন হাতে তুলে নিয়েছেন।
ক্ষুব্ধ লোকজন একটি ধূসর রঙের মার্সেডিজে ওঠেন। ইতিমধ্যে ইসলামবিদ্বেষীদের এসইউভি ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু কয়েক সেকেন্ড পরে মার্সেডিজটি তাদের তাড়া করতে থাকে। ধাওয়া করার এক পর্যায়ে এসইউভিকে প্রথমে হালকা ধাক্কা দেয় মার্সেডিজটি। পরে প্রচণ্ড গতি নিয়ে আঘাত করলে এসইউভিটি উল্টে পড়ে যায়।
এই দুই গাড়িকে অনুসরণ করা তৃতীয় কেউ পুরো ঘটনাটি ভিডিও করে সামাজিকমাধ্যমে ছেড়ে দিয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মুসলিম বসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে কোরআন পুড়িয়ে আসছে স্ক্যান্ডেনেভিয়ান মুসলিমবিদ্বেষী গোষ্ঠীর লোকজন। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় দেশটিতে বিক্ষোভ ও উত্তেজনা দেখা গেছে।