প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় লোডশেডিং করতেই হবে। কোথায় কখন লোডশেডিং করা হবে তা এলাকাভিত্তিক শিডিউল করে জানিয়ে দেওয়া হবে। আজ বুধবার সকালে চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের প্রথম ‘শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এ অনুষ্ঠানে সংযুক্ত হন।
এর আগে মঙ্গলবার শেখ হাসিনা এক অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত জ্বালানি সাশ্রয় করতে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং চালু করার কথা জানান।
তিনি বলেন, আমি মনে করি যে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কিছু সময়ের জন্য (প্রতিদিন) বিদ্যুৎ উৎপাদন কমাতে বলব, যাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত জ্বালানি সংরক্ষণ করা যায়। সবার ঘরে সরকার বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছিল এবং সবাই নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাচ্ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা। তার ওপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে তেল, ডিজেল, ভোজ্য তেল, সারের দাম বেড়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকটা জিনিসের দাম কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়ে গেছে। শুধু তাই না, যেসব শিপমেন্ট হয় তার ভাড়াও বেড়ে গেছে। যেটা হয়তো ৮০০ কোটি টাকায় পেতাম সেটা এখন ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার কোটির বেশি লেগে যাচ্ছে। আমরা এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানি করতাম, তার দামও বেড়ে গেছে।’
দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, বিদ্যুতে মোটা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে আমাদের। বিদ্যুৎ উৎপাদনের যে খরচ, আমরা কিন্তু গ্রাহকের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত সে খরচও নিতে পারি না। কিন্তু কত ভর্তুকি আমরা দেব? যেখানে সারা বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা। তাই আপনাদের অনুরোধ করবো বিদ্যুৎ ব্যয়ে সাশ্রয়ী হবেন, সীমিত রাখবেন। তাতে আপনারও লাভ হবে। আপনার বিলও কম উঠবে।
অনেক উন্নত দেশে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতি ইঞ্চি জমি এবং জলাশয়কে কাজে লাগানোর মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। তাই সবক্ষেত্রে সাশ্রয়ী হতে হবে।