ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে চ্যালেঞ্জিং স্কোর পেয়েছে বাংলাদেশ। লিটন দাস ফিফটির এক রান আগে আউট হলেও আফিফ ঠিকই ফিফটি করে নিয়েছেন। এই দুই ব্যাটারের উপর ভর করেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।
দলের প্রয়োজনে আফিফ হোসেন খেলেছেন এক দুর্দান্ত ইনিংস। তার ব্যাটিংটা ছিল কিছুটা টি-টোয়েন্টি সুলভ। ৩৮ বলে দুই চার এবং দুই ছয়ে ৫০ রান করে রান আউট হয়েছেন তিনি। তবে রান আউটটা নিজের ইচ্ছাতেই হয়েছেন। তবে এই আফিফ বাদে কেউই টি-টোয়েন্টি সুলভ ব্যাটিং করতে পারেননি।
ম্যাচের শুরুতেই এনামুল ও সাকিবকে হারিয়ে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। তবে তখনই দলের হাল ধরে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান লিটন দাস। ফিফটির এক রান আগে ওয়ালশ জুনিয়রের বলে মারতে গিয়ে আউট হন লিটন। তবে লিটন ৪৯ রান করেছেন ৪১ বল খেলে, যা টি-টোয়েন্টিতে ধীর গতির এক ইনিংস।
এদিকে এনামুল প্যাভিলিয়নে ফেরার পর সাকিব নেমেই প্রথম বলে চার মারেন। তবে তিনিও ক্রিজে টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ৩ বলে করেন মাত্র ৫ রান। আর দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ২০ বলে ২২ রান করে আউট হন। সবার সম্মিলিত ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
স্বাগতিকদের হয়ে ২৫ রান দিয়ে দুইটি উইকেট পেয়েছেন ওয়ালশ জুনিয়র। এছাড়াও একটি করে উইকেট পেয়েছেন ওদেম স্মিথ এবং শেফার্ড।
এর আগে ভেজা মাঠের কারণে নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হয়নি বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টির টস। ৩০ মিনিট পর শুরু হওয়া টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অধিনায়ক। গত ম্যাচ হারের ফলে এক পরিবর্তন নিয়ে আজ মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ।
গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে দিন বদলের অঙ্গীকার নিয়ে টাইগারদের ঘুরে দাঁড়ানোর মিশন। সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিটা শুধু সিরিজ হার ঠেকানোর জন্যই দরকারি নয়, বরং এতে টাইগাররা ফিরে পেতে পারে হারানো আত্মবিশ্বাস। সফরে এখন পর্যন্ত যে জয়ের মুখ দেখা হয়নি বাংলাদেশের।
এদিকে প্রভিডেন্স পার্কের মাঠ অবশ্য আশাবাদী করতে পারে বাংলাদেশকে। ২০০৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে এ মাঠেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় এসেছিল।