মেরামতের জন্য চলতি মাসের ১১ তারিখ থেকে ইউরোপে রুশ গ্যাসের সবচেয়ে বড় পাইপলাইন নর্ড স্ট্রিম-১ দশ দিনের জন্য বন্ধ করা হয়। এতে করে পশ্চিমারা ভয় পাচ্ছিল- রাশিয়া আদৌ আর ইউরোপে গ্যাস দেবে কিনা। কিন্তু সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আবারও নর্ড স্ট্রিম-১ এর মাধ্যমে ইউরোপে চালু হচ্ছে রুশ গ্যাসের সরবরাহ।
ডাচেস প্রেস এজেন্সির বরাত দিয়ে জানা যায়, চলতি সপ্তাহের মধ্যভাগে চালু হয়েছে নর্ড স্ট্রিম-১ পাইপলাইন। আপাতত গ্যাজপ্রম পাইপলাইনটির সক্ষমতার ৪০ শতাংশ গ্যাস সরবরাহ করছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমাদের সম্পর্ক কম খারাপ হয়নি। পশ্চিমাদের একের পর এক নিষেধাজ্ঞা ও রাশিয়ার জ্বালানি নিয়ে কূটনৈতিক চাল বিশ্ব রাজনীতিতে এখন আর নতুন কিছু নয়।
বিগত বছরগুলোতে এই পাইপলাইনে সমস্যা দেখা দিলে, ইউক্রেন ও পোল্যান্ডের মধ্যদিয়ে বয়ে যাওয়া পাইপলাইন থেকে গ্যাসের জোগান দিত রাশিয়া। কিন্তু সেসব এখন পুরোনো সুখস্মৃতি। ফেব্রুয়ারির সংঘাত বদলে দিয়েছে সব হিসাবনিকাশ।
এদিকে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধের আশঙ্কায় গ্যাসের ব্যবহার কমিয়ে আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের আগস্ট থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত অন্তত ১৫ শতাংশ গ্যাসের ব্যবহার কমানোর আহ্বান জানানো হয়েছে জোটের দেশগুলোকে।
এদিকে বুধবার (২০ জুলাই) সংবাদ সম্মেলনে ২০২২ সালের আগস্ট থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত অন্তত ১৫ শতাংশ গ্যাসের ব্যবহার কমিয়ে আনতে ২৭ দেশকে আহ্বান জানিয়েছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরজুলা ভন ডার লাইয়েন। মস্কো গ্যাস দিয়ে ইউরোপের সঙ্গে প্রতারণা করছে উল্লেখ করে আসন্ন শীতে যেন গ্যাস সংকট তৈরি না হয়, তাই এমন পদক্ষেপ বলে তিনি জানান।
কমিশনের প্রেসিডেন্ট আরও জানান, রাশিয়া থেকে গ্যাস সরবরাহ কমে যাওয়ায় ২৭টি দেশের অর্ধেকই এখন ভুক্তভোগী। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনে গ্যাসের ব্যবহার কমানোর নতুন এ সিদ্ধান্ত সদস্যদেশগুলোতে বাধ্যতামূলক করা হতে পারে। তবে নতুন এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রয়োজন বেশির ভাগ দেশের সম্মতি। এ নিয়ে আগামী শুক্রবার (২২ জুলাই) আলোচনায় বসার কথা রয়েছে ইইউর দেশগুলোর।
সূত্র: আরটি, রয়টার্স