নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখী বাজারে কিছুটা কমেছে কাঁচামরিচ ও বেগুনের দাম। সোমাবার (১৫আগস্ট) রাজধানীর কাওরান বাজারে সবচেয়ে ভালো মানের বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে। আর মাঝারি মানের বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে। তিন-চারদিন আগেও এ বেগুন বিক্রি হতো ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজিতে।
বেগুনের মতো কমেছে কাঁচামরিচের দামও। বাজারটিতে ভালো মানের কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা কেজিতে। আর একটু নিম্ন মানের কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজিতে
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, কাঁচামরিচ ও বেগুনের দাম কিছুটা কমেছে। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, এটা দাম কম বলা যায় না। যে বেগুন আগে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে কিক্রি হতো। এখন সেই বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে।
এদিকে কারওয়ান বাজারে পাইকারিতে ভালো মানের লম্বা কালো বেগুন বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা পাল্লা প্রতি। সে হিসেবে বেগুনের কেজি দাঁড়ায় ৪০ থেকে ৪৪ টাকা। এই বেগুন খুচরা বাজারে বিক্রি হয় ২০ থেকে ২৫ টাকা লাভে।
একই বাজারে কাঁচামরিচ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা পাল্লাতে। সেই হিসেবে পাইকারি বাজার থেকে কাঁচামরিচ কেজি প্রতি কেনা হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়। এই কাঁচামরিচ পাইকারি মূল্যে কিনে রাজধানীর খুচরা বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা কেজিতে।
বেগুন ও কাঁমরিচের মতো খুচরা বাজারে গাজর বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজিতে, টমেটো ৯০ থেকে ১০০ টাকা। আর সিম বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিতে।
খুচরা ব্যবসায়ী রিপন হাওলাদার ঢাকা কনভারসেশনকে বলেন, বেগুন ও মরিচের দাম কমতে শুরু করেছে। দুই-তিন দিন আগেও বেগুন বিক্রি করেছি ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি। আজকে বিক্রি করছি ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি। ২৫০ টাকা ২৮০ কেজিতে বিক্রি হওয়া কাঁচামরিচ আজকে বিক্রি করেছি ১৬০ টাকা ১৭০ টাকায়।
তিনি আরও বলেন, ভারত থেকে মরিচ আসায় দাম কমতে শুরু করেছে। কিছুদিন পর কাঁচামরিচ আরও কম দামে পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।
কাঁঠালবাগান থেকে আসা ক্রেতা মইনুল ইসলাম ঢাকা কনভারসেশনকে বলেন, তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে সবকিছুর দাম বাড়তি। তিনি অভিযোগ করেন, যে বেগুন ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কিনেছেন কয়েকদিন আগে, আজকে সেই বেগুন কিনছেন ৬০ টাকা কেজিতে।