বৃহস্পতিবার , ১১ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৭শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৯শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

বরগুনা থেকে সরানো হলো পুলিশের ৫ সদস্যকে, তালিকায় আরও ৭

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ১৭ আগস্ট, ২০২২

জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মারামারি থামানোর নামে লাঠিচার্জের ঘটনায় আরও পাঁচ পুলিশ সদস্যকে বরগুনা জেলার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ এ পর্যন্ত মোট ছয়জনকে এ জেলা থেকে সরিয়ে নেওয়া হলো।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম তারেক রহমান। বিস্তারিত ব্যাখ্যা না দিলেও মোট ছয়জনকে বরগুনা জেলা পুলিশে দায়িত্ব পালন থেকে সরিয়ে নেওয়ার সত্যতা স্বীকার করেন তিনি।

সর্বশেষ পাঁচজন হলেন, বরগুনা সদর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সাগর দে, সদর থানার কনস্টেবল রুহুল আমিন, ডিবির এএসআই ইসমাইল, কনস্টেবল এম সানি, পুলিশ লাইন্সের কনস্টেবল মো. রাফিউল ইসলাম।

এর মধ্যে সাগর দে, রাফিউল এবং এম সানিকে ভোলা পুলিশ লাইন্সে এবং ইসমাইল ও রুহুল আমিনকে পিরোজপুর পুলিশ লাইন্সে যুক্ত করা হয়েছে।

এর আগে দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে বরিশাল ডিআইজি কার্যালয়ে নিযুক্ত করেন রেঞ্জ ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান। তিনি জানান, বরগুনার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের নিজেদের নিরাপত্তা এবং কমিটির তদন্তে যেন তারা প্রভাব বিস্তার করতে না পারেন, সে জন্য বরগুনার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র বলছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখে শনাক্ত করে মাত্রাতিরিক্ত লাঠিচার্জকারী ছয়জনকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। এ তালিকায় আরও সাতজন রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। ঢালাওভাবে একদিনে সরিয়ে নেওয়ায় বাহিনীর ওপর মানুষের খারাপ ধারণা জন্মাবে বলে পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে।

১৫ আগস্ট বরগুনায় জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের মারামারি ঠেকাতে গিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম লাঠিচার্জ করে। এ ঘটনায় পুলিশের একটি এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।