ঢাকামঙ্গলবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

তিন মাসে মস‌জিদের দানবাক্সে ১৫ বস্তা টাকা!

ঢাকা কনভারসেশন ডেস্কঃ
অক্টোবর ১, ২০২২ ২:৩১ অপরাহ্ণ / ই-প্রিন্ট ই-প্রিন্ট
                                                       
                           
Link Copied!
ই-প্রিন্ট ই-প্রিন্ট                            

এবার কি‌শোরগঞ্জ পাগলা মস‌জি‌দের দানবাক্স খু‌লে তাজ্জব বনে গেছে কর্তৃপক্ষ। পাওয়া গে‌ল ১৫ বস্তা টাকা। সঙ্গে রয়েছে স্বর্ণালঙ্কার ও বিদেশি মুদ্রা।

শনিবার (১ অক্টোবর) সকা‌লে পাগলা মসজিদের ৮টি লোহার দানবাক্স ‌খোলা হয়। দে‌শের এই মসজি‌দের দানবা‌ক্সে মাত্র তিন মাসের ব্যবধা‌নে বিপুল অঙ্কের এ টাকা পাওয়া গেছে।

জেলা প্রশাস‌নের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা‌দের উপ‌স্থি‌তি‌তে স্থানীয় এক‌টি ব্যাংকের ৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী, মস‌জিদ ক‌মি‌টির ৩৫ জন, মসজিদ ক্যাম্পাস মাদরাসার দেড় শতা‌ধিক ‌শিক্ষার্থীসহ মোট দুই শতাধিক ব্যক্তি টাকা গণনার কা‌জে অংশ নেন।

‌কি‌শোরগ‌ঞ্জের অতি‌রিক্ত জেলা ম্যা‌জি‌স্ট্রেট এটিএম ফরহাদ চৌধুরী জানান, সারাদিন ধ‌রে টাকা গণনার কাজ চল‌বে। সন্ধ্যা নাগাদ জানা যা‌বে দা‌নের টাকার অঙ্ক।

সব‌শেষ গত ২ জুলাই মস‌জি‌দের দানবাক্স খোলা হ‌য়। তখন ৩ কোটি ৬০ লাখ ২৮ হাজার ৪১৫ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া যায়। এবার ৩ মাস ১ দিন পর সিন্দুকগুলো খোলা হয়েছে।

জনশ্রুতি আছে, প্রায় ৫০ বছর আগে পাগলবেশী এক আধ্যাত্মিক সাধু নরসুন্দা নদীর মাঝখা‌নে চরে আশ্রয় নেন। তার মৃত্যুর পর সমাধির পাশে এই মসজিদটি গড়ে ওঠে। প‌রে পাগলা মসজিদ নামে পরিচি‌তি পায়  মস‌জিদটি।

পাগলা মসজিদে দান কর‌লে মনের ইচ্ছা পূরণ হয়- এমন বিশ্বাসে মুসলমান ছাড়াও অন্যান্য ধ‌র্মের লোকজন এখা‌নে দান ক‌রে থা‌কেন। নগদ টাকা ছাড়াও চাল, ডাল, গবাদিপশু, হাঁস-মুর‌গিসহ অনেক কিছু মানুষ দান করেন।

দা‌নের টাকা থে‌কে নিজস্ব খরচ মি‌টি‌য়েও জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানাসহ গরিব ছাত্রদের মাঝে ব্যয় করা হয়। টাকা দেওয়া হয় নানা সামা‌জিক কা‌জে। বা‌কি টাকা রুপালী ব্যাংকে জমা রাখা হয়।

পাগলা মস‌জিদ প‌রিচালনা ক‌মি‌টির সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মাহমুদ পার‌ভেজ জানান, মস‌জি‌দের দানের টাকা দি‌য়ে শত কো‌টি টাকা ব্য‌য়ে নতুন মস‌জিদ কম‌প্লেক্স নির্মা‌ণের উদ্যোগ নেওয়া হ‌য়ে‌ছে।