সোমবার , ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ১৭ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

তুরস্কের সহায়তায় ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ করতে চায় পুতিন

প্রকাশিত হয়েছে- শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২২

ইউরোপে গ্যাস সরবরাহের প্রস্তাব করেছেন পুতিন। তুরস্ককে ব্যবহার করে এ সরবরাহ কাজ করতে চায় রাশিয়া। বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) কাজাখস্তানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সঙ্গে এক বৈঠকে এ কথা বলেন ভ্লাদিমির পুতিন।

গত তিন মাসে চতুর্থবারের মতো বৈঠক হলো তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে। বৃহস্পতিবার কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ ও আস্থা বাড়ানোর লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সিআইসিএ সম্মেলনে এ দুই নেতার সাক্ষাৎ হয়।

বৈঠকে মূলত বাণিজ্য ইস্যুতে আলোচনা হয়। এরদোগান তুরস্কের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রসঙ্গ তোলেন। এ সময় পুতিনকে তুরস্কের দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিষয়ে জানান এরদোগান। ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি তুরস্কের উত্তরাঞ্চলে তৈরি করে দেবে রাশিয়া।

তবে আলোচনায় গুরুত্ব পায় রাশিয়ার প্রাকৃতিক গ্যাস অন্যান্য দেশে সরবরাহের ব্যবস্থা তৈরিতে তুরস্কের কাছে পুতিনের সহায়তা চাওয়ার বিষয়টি। ইউরোপে গ্যাস সরবরাহের জন্য তুরস্ককে ব্যবহার করতে চায় রাশিয়া। গ্যাস সরবরাহ করতে তুরস্কে একটি সাপ্লাই হাব তৈরির পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। এ নিয়ে তুরস্কের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করা হবে। এতে জ্বালানি সরবরাহের পাশাপাশি দাম নির্ধারণ করাও সহজ হবে বলে জানান পুতিন।

পুতিন বলেন, ‘গ্যাস সাপ্লাই হাব আমরা একসঙ্গে তৈরি করতে পারি। এটি কেবল সরবরাহের জন্য নয়, দাম নির্ধারণের জন্যও একটি প্ল্যাটফর্ম হবে। কারণ, মূল্য নির্ধারণের সমস্যা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গ্যাসের দাম অনেক বেশি। এই হাব হলে আমরা কোনো রাজনৈতিক চাপ ছাড়াই দাম স্বাভাবিক করতে পারব।’

এদিকে, পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় নিরাপদে রাশিয়ার শস্য অনুন্নত দেশগুলোতে রফতানির বিষয়ে জোর দেন এরদোগান। ইউক্রেনের শস্য রফতানির জন্য কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার অবরোধের মুখে থাকা বন্দরগুলো খুলে দিতে গত জুলাইয়ে যে চুক্তি হয় ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে, এতে মধ্যস্থতা করে তুরস্ক।

এরদোগান বলেন, ‘আমরা ইস্তাম্বুল চুক্তির অধীন শস্য রফতানি জোরদার করতে এবং তুরস্কের মাধ্যমে স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে রুশ শস্য ও সার স্থানান্তর করার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। উন্নত দেশগুলোর পরিবর্তে দরিদ্র দেশগুলোর দিকে মনোযোগ দেওয়া জরুরি। আমি মনে করি এটি করলে স্বল্পোন্নত দেশগুলো উপকৃত হবে।’

তবে বৈঠকে ইউক্রেন সংকট সমাধানের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।