চীন ও যুক্তরাষ্ট্রকে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে স্ব-শাসিত তাইওয়ানের ওপর বেইজিংয়ের আগ্রাসন থেকে শুরু করে হংকংয়ে তাদের দমনপীড়ন এবং জিনজিয়াংয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘণের ক্ষেত্রে মুখোমুখী অবস্থানে দাঁড়াতে দেখা যায়।
এ ছাড়া ওয়াশিংটন রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের জন্য কূটনৈতিক সমর্থন দেওয়ায় বেইজিংকে অভিযুক্ত করে।
রবিবার কমিউনিস্ট পার্টি কংগ্রেস শেষে চীনের নেতা হিসেবে শি’কে আরো পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতায় বসানো হয়।
চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার কেন্দ্র সিসিটিভি পরিবেশিত খবরে বলা হয়, মার্কিন-চীন সম্পর্ক বিষয়ক জাতীয় কমিটির কাছে একটি অভিনন্দনপত্রে শি লিখেছেন, ‘বিশ্ব আজ শান্তিপূর্ণ বা শান্ত নয়।’
এটি কংগ্রেসের পর দেওয়া তার প্রথম বক্তব্যের অংশবিশেষ।
তিনি বলেন, ‘প্রধান শক্তি হিসেবে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যোগাযোগ ও সহযোগিতা জোরদার- বিশ্বব্যাপী স্থিতিশীলতা ও নিশ্চয়তা বৃদ্ধিতে এবং বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়নকে উন্নীত করতে সাহায্য করবে।’
শি আরো বলেন, চীন ‘পরস্পরকে সম্মান দিতে, শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করতে ও নতুন যুগে একসাথে থাকার উপায় খুঁজে বের করতে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক।’
শি লিখেছেন, ‘এটি কেবল উভয় দেশের জন্যই মঙ্গলজনক হবে না, বরং গোটা বিশ্বের জন্যও ভালো হবে।’
এদিকে বাইডেন প্রশাসন এ মাসে বলেছে যে আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা পুনর্নির্মাণের অভিপ্রায় এবং ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক, সামরিক ও প্রযুক্তিগত শক্তি উভয় ক্ষেত্রে সেই উদ্দেশ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য চীন হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র প্রতিযোগী দেশ।
সূত্র: বাসস