বাণিজ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি, এমপি বলেছেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের চমৎকার পরিবেশ রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বেশকিছু সুযোগ সুবিধা প্রদান করছে। ফ্রান্সের বিনিয়োগকারীরা এসকল সুযোগ সুবিধা গ্রহন করতে পারেন। বাংলাদেশ সরকার প্রয়োজনীয় সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এ মুহূর্তে বাংলাদেশে তৈরী পোশাক, লেদার, মেডিকেল পণ্য, সিরামিক, এনার্জি এবং অবকাঠামো উন্নয়ন খাতে বিপুল বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশের বিভন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একশতটি স্পেশাল ইকনোমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে, এর অনেকগুলোতে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এগুলোতেও বিপুল বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।
ফ্রান্সে ১৪-১৫ ফেব্রুয়ারি ওইসিডি আয়োজিত ‘প্রমোটিং এন্ড ইনাব্লিং রিসপনসিবল বিজনেস কনডাক্টর ইন দ্যা গ্লোবাল ইকনোমিক’ শীর্ষক মিনিস্টারিয়াল মিটিং এ যোগদান করে এমইডিইএফ ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত মতবিনিময় সভায় ফ্রান্সের ব্যবসায়ী নেতাদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন।
ফ্রান্সে অবস্থিত বিজনেস কমিউনিটি আয়োজিত অপর এক মতবিনিময় সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ফ্রান্সের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যে ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে। সকল ব্যবসা বাণিজ্য ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করতে হবে এবং ফ্রান্সে অবস্থিত সকল প্রবাসীকে রেমিটেন্স প্রোপার চ্যানেলে বাংলাদেশে প্রেরণ করতে হবে। এতে দেশের অর্থনীতি আরও শিক্তিশালী হবে। ফ্রান্সের সঙ্গে ব্যবসা বাণিজ্য ক্ষেত্রে যেকোন জটিলতা সরকার গুরুত্ব দিয়ে সমাধান করবে। এসময় ইউরো-বাংলা বিজনেস এসোসিয়েশন এবং ফ্রান্স বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সফরকালে বাণিজ্যমন্ত্রী হাঙ্গেরির ফরেন এন্ড ট্রেড মিনিস্টার পিটার এসজিজার্টো এর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। এসময় বাণিজ্যমন্ত্রী হাঙ্গেরিতে পড়ালেখার জন্য বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের ভিসা সহজ করার আহ্বান জানান। দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং ডাবল ট্যাক্সেশন পরিহারে চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা করেন।
ফ্রান্সে ১৪-১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত মিটিং এ বাংলাদেশের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশগ্রহন করেন। অন্য দু’জন হলেন এফবিসিসিআইএর সাবেক প্রেসিডেন্ট শফিউল ইসলাম এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার।
সভায় মার্কেট বেজ ইকনোমিক প্রিন্সিপাল, ওপেন, ফ্রি, ফেয়ার, রুলবেজ, মাল্টিলেটারেল ট্রেডিং সিস্টেম এবং সরকারের দুর্নীতিমুক্ত ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করণ এবং মানবাধিকার সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়ে।
উল্লেখ্য, দু’দিন ব্যাপী এ মিটিং এ ২৫টি দেশের মন্ত্রী, ইউএন বডি, ইইউ, আন্তর্জাতিক সংস্থা, ট্রেড ইউনিয়ন প্রতিনিধি এবং সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

