ঢাকামঙ্গলবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

রাইস ব্র্যান তেল কি স্বাস্থ্যকর?

ঢাকা কনভারসেশন ডেস্কঃ
মে ১৯, ২০২২ ১১:২২ অপরাহ্ণ / ই-প্রিন্ট ই-প্রিন্ট
                                                       
                           
Link Copied!
ই-প্রিন্ট ই-প্রিন্ট                            

শারীরিক সুস্থতা ও সুস্বাস্থ্যের জন্য কোন খাবার রান্না করা হচ্ছে সেটা যতখানি নির্ভরশীল, একইসাথে কোন তেলে খাবার রান্না করা হচ্ছে, সেটাও একই মাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
রান্নায় তেলের ভূমিকা অনেকখানি। তেলের জন্য স্বাদের যেমন হেরফের ঘটে, একইভাবে পুষ্টিগুণের ক্ষেত্রেও দেখা দেয় তারতম্য।

স্বাস্থ্যকর তেলের ব্যবহার যেমন দীর্ঘসময়ের জন্য সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে কাজ করে, একইসাথে অস্বাস্থ্যকর তেল বিভিন্নভাবে স্বাস্থ্যহানি ঘটায়। এ কারণেই প্রতিদিনের রান্নায় তেলের ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া ভীষণ জরুরি ও অত্যাবশ্যক। সেক্ষেত্রে অন্যান্য সকল প্রকারের তেলের মাঝে রাইস ব্র্যান অয়েল (Rice Bran Oil) হলো সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর তেল।

কী এই রাইস ব্র্যান অয়েল?
ধানের তুষ কিংবা ব্রাউন রাইসের উপরের অংশের নির্যাস থেকে তৈরি করা হয় রাইস ব্র্যান অয়েল। ফলে সয়াবিন তেলের চাইতে বেশ অনেকটা গাড় রঙের হয়ে থাকে এই তেল। এমনকি এই তেলে রান্না করা খাবারেও যোগ হয় ভিন্ন স্বাদ।

কেন এই তেল উপকারী?
অন্যান্য যেকোন তেলের চাইতে রাইস ব্র্যান অয়েলের হাই স্মোক পয়েন্ট অনেক বেশি (৪৫০ ডিগ্রী ফারেনহাইট)। এতে করে উচ্চ তাপমাত্রায় তৈরি করা খাবারের জন্য রাইস ব্র্যান অয়েল সবচেয়ে যুতসই। এছাড়া এই তেলে রয়েছে কার্যকর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ওয়াই-অরিজ্যানল। আরও আছে অর্গানিক কেমিক্যাল কম্পাউন্ড টোকফেরলস ও টোকট্রাইনলস, যা ভিটামিন-ই উপকারিতা বহন করে। ফলে এই তেল ব্যবহারে রান্না করা খাবার গ্রহণে স্বাস্থ্যঝুঁকির চাইতে সুস্বাস্থ্য পাওয়ার হার থাকে বেশি।

রাইস ব্র্যান অয়েলের স্বাস্থ্য উপকারিতা
নিয়মিত স্বাস্থ্যকর এই তেল ব্যবহারে বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যাবে। এখানে প্রধান কয়েকটি উপকারিতা তুলে ধরা হলো।

সুস্থ রাখে হৃদযন্ত্র
রাইস ব্র্যান অয়েল হার্ট-ফ্রেন্ডলি অয়েল হিসেবেও পরিচিত। কেননা অন্যান্য তেলের মতো এই তেল রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে না। বরং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে কাজ করে। কয়েকটি পরীক্ষা থেকে দেখা গেছে, অন্যান্য ভেজিটেবল অয়েলের চাইতে রাইস ব্র্যান অয়েলের মনোআনস্যাচুরেটেড, পলিআনস্যাচুরেটেড ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট সমন্বয় সবচেয়ে ভালো।

কমায় ডায়বেটিসের মাত্রা
একটি গবেষণার তথ্য জানাচ্ছে, প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে রাইস ব্র্যান অয়েলের ব্যবহার প্রায় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ডায়বেটিস কমিয়ে থাকে।

সাহায্য করে ওজন কমাতে
যেহেতু রাইস ব্র্যান অয়েল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে কাজ করে, এই তেল ওজন কমাতেও সাহায্য করে। এছাড়া অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর এই তেল মেটাবলিজমের মাত্রা বৃদ্ধিতে অবদান রাখে। যা ওজন কমাতে কাজ করে।

বয়স বৃদ্ধির হার স্লথ করে
রাইস ব্র্যান অয়েল ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে এবং ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ফলে ত্বকে সহজে বলীরেখা দেখা দেয় না এবং ত্বকের আর্দ্রতা সঠিক মাত্রায় বজায় থাকে।

চুলের জন্য উপকারী
রাইস ব্র্যান অয়েলে রয়েছে আইনোসিটল (Inositol) নামক একটি কার্বোহাইড্রেট উপাদান, যা খুশকি ও চুলের আগা ভাঙা রোধ করতে কার্যকর। পাশাপাশি এই তেলে রয়েছে ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিডস। এই অপরিণত বয়সে চুল পাকা রোধ করে।