ঢাকাবুধবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

গডফাদার খ্যাত অভিনেতা জেমস কান আর নেই

ইমরান রহমান অনিম
জুলাই ৮, ২০২২ ১০:৩৩ পূর্বাহ্ণ / ই-প্রিন্ট ই-প্রিন্ট
                                                       
                           
Link Copied!
ই-প্রিন্ট ই-প্রিন্ট                            

দ্য গডফাদার খ্যাত অভিনেতা জেমস কানের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) জেমসের পরিবারের থেকে একটি বিবৃতির মাধ্যমে তার মৃত্যুর খবরটি জানানো হয়। মৃত্যুকালে জেমসের বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। অভিনেতার টুটারে পরিবারের পক্ষ থেকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করলেও ঠিক কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা কিছুই জানানো হয়নি। তার টুইটার পোস্টে লেখা হয়েছে, ব্যথিত হৃদয়ে আপনাদের জানানো হচ্ছে যে ৬ জুলাই বিকেলে জিমি প্রয়াত। আপনাদের তরফ থেকে ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধার্ঘ্য পেয়ে আমরা ধন্য। কঠিন সময়ে আমাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ধন্যবাদ।

দ্য গডফাদার সিনেমায় অভিনয় করে তিনি সবার মন জয় করেছিলেন তিনি। ওই সিনেমায় তিনি গ্যাংস্টারের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। ১৯৬৩ সালে সিনেমা জগড়ে পার রাখেন জেমস। ১৯৭২ সালে মুক্তি পাওয়া গডফাদার তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। ১৯৭৪ সালে এই ছবির সিক্যুয়াল দ্য গডঢাদার টুতেও অভিনয় করেছেন তিনি। ১৯৬৩ সালে সিনেমা জগড়ে পার রাখেন জেমস। ১৯৭২ সালে মুক্তি পাওয়া গডফাদার তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।

১৯৭৪ সালে এ ছবির সিক্যুয়াল দ্য গডঢাদার টুতেও অভিনয় করেছেন তিনি। দ্য রেইন পিপল (১৯৬৯) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পর ১৯৭০-এর দশকে ব্রায়ান্‌স সং (১৯৭১), সিন্ডেরেলা লিবার্টি (১৯৭৩), দ্য গ্যাম্বলার (১৯৭৪), ফ্রিবি অ্যান্ড দ্য বিন (১৯৭৪), রোলারবল (১৯৭৫), ফানি লেডি (১৯৭৫), আ ব্রিজ টু ফার (১৯৭৭) ও চ্যাপ্টার টু (১৯৭৯) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি দ্য গ্যাম্বলার (১৯৭৪) ও রোলারবল (১৯৭৫) ছবিতে অভিনয়ের জন্য আরও দুটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।

কান পরবর্তী দশকগুলোতে থিফ (১৯৮১), মিজারি (১৯৯০), ফর দ্য বয়েজ (১৯৯১), ইরেজার (১৯৯৬), বোটল রকেট (১৯৯৬), ও এল্‌ফ (২০০৩) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন এবং টেলিভিশন ধারাবাহিক লাস ভেগাস (২০০৩-০৮)-এ ‘বিগ এড’ ডেলাইন চরিত্রে অভিনয় করে একটি প্রাইমটাইম এমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। এ ছাড়া তিনি ক্লাউডি উইথ আ চ্যান্স অব মিটবলস্‌ (২০০৯) ও ক্লাউডি উইথ আ চ্যান্স অব মিটবলস্‌ টু (২০১৩) চলচ্চিত্রে কেন্দ্রীয় চরিত্র ফ্লিন্ট লকউডের পিতা টিম লকউড চরিত্রের জন্য কণ্ঠ দেন।
অভিনেতার ব্যক্তিগত জীবনও ফিল্মের মতোই। চারবার বিয়ে করেছিলেন তিনি। ১৯৬১ সালে ডিজে ম্যাথিসকে বিয়ে করেন তিনি। ১৯৬৬ সালে প্রথমবার ডিভোর্স হয় অভিনেতার। ১৯৭৬ সালে শেইলা মারিয়া রায়ানকে বিয়ে করেন জেমস। তবে ‘৭৬ সালে শেইলার সঙ্গেও জেমসের বিয়ে ভেঙে যায়। ১৯৯০ সালে আবারও বিয়ে করেন জেমস। তবে তৃতীয় স্ত্রী হাজেক এর সঙ্গেও তার বিয়ে টেকেনি। ১৯৯৪ সালে আলাদা হয়ে যান তারা। ১৯৯৫ সালের ৭ অক্টোবরে জেমস কান বিয়ে করেন লিন্ডাকে। তবে ২০১৭ সালে লিন্ডার সঙ্গেও বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন অভিনেতা। দাম্পত্য জীবনে সেইভাবে সুখী না হলেও কর্মজীবন নিয়ে খুশি ছিলেন জেমস কান। একের পর এই দুর্দান্ত ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। নাম, যশ, খ্যাতি মিলেছে।

সূত্র: বিবিসি